ঘুমন্ত সন্তানকে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার মা

- আপডেট সময় : ০৬:০৫:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫ ৩৪ বার পড়া হয়েছে
সাতক্ষীরায় একজন মা তার ঘুমন্ত শিশু সন্তানকে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে জনতা ঘাতক মাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
আজ শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার বাটরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশুর নাম খাদিজা খাতুন (দেড় বছর)।
সে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কুশোডাঙা গ্রামের তৌহিদুজ্জামানের মেয়ে। গ্রেপ্তার মায়ের নাম আসমা খাতুন (২৪)। সে কুশোডাঙা গ্রামের তৌহিদুজ্জামানের স্ত্রী ও বাটরা গ্রামের আব্দুল মাজেদের মেয়ে।
কলারোয়া উপজেলার বাটরা গ্রামের রেশমা খাতুন জানান, তার দুই ভাই মালয়েশিয়ায় থাকে।
২০২১ সালের জুন মাসে তার বোন আসমার সাথে একই উপজেলার কুশোডাঙা গ্রামের তৌহিদুজ্জামানের বিয়ে হয়। পরবর্তীতে আসমার গর্ভে তানভির হোসেন টাইগার ও খাদিজা খাতুন নামে দুটি সন্তান হয়। সম্প্রতি আসমা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। এ কারণে তার মা আলেয়া খাতুন বৃহস্পতিবার আসমাকে চিকিৎসার জন্য শ্বশুর বাড়ি থেকে বাড়িতে আনেন।
শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে আসমা তার মেয়ে খাদিজাকে ঘরের বারান্দায় রেখে ঘুম পাড়াচ্ছিল। এ সময় মা আলেয়া মেয়ে আসমাকে ডাক্তারখানায় নিয়ে যাওয়ার জন্য মোটর ভ্যান আনতে যান। কিছু সময় পর আসমা রান্না ঘর থেকে ধারালো বটি নিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় খাদিজার গলা কুপিয়ে হত্যা করে। স্থানীয় জনতা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
জালালাবাদ ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোজাব্বর হোসেন জানান, শিশু সন্তানকে হত্যার পর আসমা সেখানেই বসে ছিল।
মানসিক ভারসাম্য হারানোর ফলে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি মনে করেন।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান জানান, আসমা মানসিক ভারসাম্যহীন বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শিশু খাদিজার লাশের ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।