ফ্যাসিবাদের প্রতিষ্ঠাতারা কেন ধরাছোঁয়ার বাইরে, প্রশ্ন রিজভীর

- আপডেট সময় : ১১:১৪:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫ ৫ বার পড়া হয়েছে
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, যাদের কারণে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তারা কেন আজও ধরাছোঁয়ার বাইরে? যারা বাংলাদেশের সকল প্রতিষ্ঠানকে ভেঙে দিয়ে ফ্যাসিবাদকে চিরস্থায়ী করার জন্য শেখ হাসিনার পক্ষে কাজ করেছে তাদের এখনো কেনো গ্রেপ্তার করা হয়নি?
শুক্রবার বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ আবদুল্লাহ বিন জাহিদের ক্যান্সার আক্রান্ত ছোট ভাই মাহমুদুল্লাহ বিন জিসানের চিকিৎসা ও অপারেশনের জন্য আর্থিক সহায়তার দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ এর মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
অনুষ্ঠানে রুহুল কবির রিজভী বলেন, কেন বিচারপতি খায়রুল হক এখনো গ্রেপ্তার হয়নি? তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা বন্ধ করে শেখ হাসিনাকে এক ভয়ঙ্কর রাক্ষসী, ফ্যাসিবাদ, নাৎসিবাদ তৈরির সুযোগ দিয়েছিলেন।
তিনি কেন এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে?
তিনি বলেন, কমপক্ষে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের যে আইনটি, সেটি বলবৎ থাকলে একটা স্পেস হতে পারতো। কিন্তু অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে বিদেশি চক্রান্ত এবং দেশের গণতন্ত্র বিরোধীদের সুপরিকল্পিত আঁতাতে খায়রুল হক এই কাজটি করেছিলেন। তিনি তো সবচেয়ে বেশি দায়ী। এই যে জাহিদের হত্যাকাণ্ড, আবু সাঈদের হত্যাকাণ্ড- এই সমস্ত কিশোর-তরুণ যাদের বুকের তাজা রক্ত ঝরে গেল শেখ হাসিনার র্যাব, পুলিশ, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে; এর জন্য দায়ী তো খায়রুল হকও।
প্রথম এবং প্রধান দায়ী। শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদ কায়েম করার জন্য সুযোগ করে গেছেন তারা।
তিনি আরো বলেন, একজন নিরীহ মানুষ, জনগণের অত্যন্ত সমাদৃত জনপ্রিয় একজন নেত্রী, দেশ-বিদেশে প্রশংসিত একজন নেত্রী, গণতন্ত্রের জন্য যিনি সুখ-শান্তিকে বিলীন করে দিয়েছেন, তাকে (বেগম জিয়া) মিথ্যা মামলায় জাস্টিস আসাদুজ্জামান পাঁচ বছর সাজা দিয়েছিলেন। তারপরে আবার হাইকোর্টে আরেকজন বিচারপতি এনায়েতুর রহিম, তিনি আরো পাঁচ বছর বাড়িয়ে দিলেন।
এরা কেন আজ ধরাছোঁয়ার বাইরে? এরাই তো গণতন্ত্রের হত্যাকারী। এরাই তো ফ্যাসিবাদ কায়েমের জন্য শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করেছেন। আমরা যদি শহীদের রক্তকে নূন্যতম মর্যাদা দিতে চাই, তারা তো কেউ গ্রেপ্তারের বাইরে থাকার কথা নয়। এরা যদি দেশে নাও থাকে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তেই থাকুক, তাদের গ্রেপ্তার করার দায়িত্ব অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের। সেই উদ্যোগ জনগণ দেখতে চায়।
বিএনপির এই মুখ্যপাত্র বলেন, যারা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনকে ধ্বংস করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে গেছেন, সেই রকিবুল হুদা এখনো গ্রেপ্তার হয় না কেন? সিইসি কে এম নুরুল হুদা এখনো কেন গ্রেপ্তার হয় না? এরাই তো গণতন্ত্র হত্যাকারী, নির্বাচন ধ্বংসকারী, এরাই ভোটার বাদ দিয়ে গরু-ছাগলকে দিয়ে ভোট দিতে উদ্বুদ্ধ করেছেন। এই সমস্ত গণতন্ত্র বিনাশী অমানুষ দানবরা কি আজও গ্রেপ্তারের বাইরে থাকতে পারে? যারা মূল অপরাধী।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- আমরা বিএনপি পরিবার এর সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুন, বিএনপির যুগ্ম- মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, কোষাধক্ষ্য এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, গাজীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফজলুল হক মিলন, সংগঠনের উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার মোস্তফা-ই জামান সেলিম, সদস্য নাজমুল হাসান প্রমুখ।