সিলেট ০৯:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রোজা শুরুর আগেই আগুন লেবুর বাজারে, হালি ১২০!

আজকের পাতা ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:৪২:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৪০ বার পড়া হয়েছে

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর নিউমার্কেটের বনলতা কাঁচা বাজারের ভেতর ও বাইরের দোকানগুলোতে এমন চিত্রই দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিটি দোকানেই প্রচুর পরিমাণ বিভিন্ন আকার আকৃতি এবং জাতের লেবু এনেছেন বিক্রেতারা। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি হচ্ছে এলাচি লেবু (লম্বা আকৃতির লেবু)। এরসঙ্গে কলম্বো (গোল আকৃতির লেবু), কাগজী লেবুও রয়েছে। অধিকাংশ দোকানেই লেবুর দাম নির্ধারিত হচ্ছে আকৃতি ভেদে। লেবু যত বেশি বড় দামও তত বেশি। তবে যেকোনো জাতের লেবুতে সর্বনিম্ন ৬০-৮০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১২০ টাকা দাম হাঁকা হচ্ছে।

বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারিভাবেই বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে লেবু। যার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। আবার রোজা ও গরমের কারণে চাহিদা বেশি হওয়ায় বাজারে অনেক ব্যবসায়ী পর্যাপ্ত লেবু পাননি। যা লেবুর দামে প্রভাব ফেলেছে।

রবিউল ইসলাম নামের এক বিক্রেতা বলেন, আমি ৪ ধরনের লেবু এনেছি। এর মধ্যে একটি জাতের আকার সবচেয়ে বড়। সেটি কিনতে হয়েছে হালি ১০০ টাকা। লম্বা বড় জাতের লেবুর হালি ৮০ টাকা। আর ছোট-মাঝারি আকৃতির লেবুর হালি ৬০ টাকা। এটিই সর্বনিম্ন দাম। সবচেয়ে ছোট লেবুও ১৫ টাকা পিস হিসেবে পাইকারি মার্কেটে দাম চেয়েছে। আমাদের কিছুই করার নেই। প্রতিবছরই রোজার শুরুতে এরকম বাড়তি দাম থাকে।

আরিফ বিল্লাহ নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, দাম যেমন বেশি তেমন মানও ভালো। প্রতিবছরই রোজার আগে দাম এরকম বেড়ে যায়। তাছাড়া এখন গরম শুরু হয়েছে শরবতের জন্যও ব্যাপক চাহিদা। পাইকারি বাজারেই বাড়তি দাম দিয়ে আমাদের কিনতে হচ্ছে। গত সপ্তাহেও যেই লেবু ৪০ টাকা হালি ছিল সেটি এখন ৮০-৯০ টাকার নিচে কেনা যাচ্ছে না। রোজার মাস ধরে এমন চড়াই থাকবে। আবার পাহাড়ি লেবু বাজারে নামলে তখন দাম কমে আসবে।

লেবুর বাড়তি দাম নিয়ে অস্বস্তি প্রকাশ করেছেন ক্রেতারাও। মোমেনা খাতুন নামের এক ক্রেতা বলেন, আজ রোজার বাজার করেছি। এখন লেবু কিনতে এসেই অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। ভালো মানের লেবুর হালি ৮০ টাকা চাচ্ছে। আর সাইজে বড়গুলো ১০০ টাকা চাচ্ছে। বাধ্য হয়ে ৮০ টাকায় এক হালি নিতে হলো। দাম কমলে আবার নেবো। রমজান মাসজুড়ে লেবুর বাড়তি দাম থাকলে শরবতের ক্ষেত্রে লেবুর বদলে অন্য উপাদানের শরবতে প্রাধান্য দিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

রোজা শুরুর আগেই আগুন লেবুর বাজারে, হালি ১২০!

আপডেট সময় : ০৫:৪২:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর নিউমার্কেটের বনলতা কাঁচা বাজারের ভেতর ও বাইরের দোকানগুলোতে এমন চিত্রই দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিটি দোকানেই প্রচুর পরিমাণ বিভিন্ন আকার আকৃতি এবং জাতের লেবু এনেছেন বিক্রেতারা। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি হচ্ছে এলাচি লেবু (লম্বা আকৃতির লেবু)। এরসঙ্গে কলম্বো (গোল আকৃতির লেবু), কাগজী লেবুও রয়েছে। অধিকাংশ দোকানেই লেবুর দাম নির্ধারিত হচ্ছে আকৃতি ভেদে। লেবু যত বেশি বড় দামও তত বেশি। তবে যেকোনো জাতের লেবুতে সর্বনিম্ন ৬০-৮০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১২০ টাকা দাম হাঁকা হচ্ছে।

বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারিভাবেই বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে লেবু। যার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। আবার রোজা ও গরমের কারণে চাহিদা বেশি হওয়ায় বাজারে অনেক ব্যবসায়ী পর্যাপ্ত লেবু পাননি। যা লেবুর দামে প্রভাব ফেলেছে।

রবিউল ইসলাম নামের এক বিক্রেতা বলেন, আমি ৪ ধরনের লেবু এনেছি। এর মধ্যে একটি জাতের আকার সবচেয়ে বড়। সেটি কিনতে হয়েছে হালি ১০০ টাকা। লম্বা বড় জাতের লেবুর হালি ৮০ টাকা। আর ছোট-মাঝারি আকৃতির লেবুর হালি ৬০ টাকা। এটিই সর্বনিম্ন দাম। সবচেয়ে ছোট লেবুও ১৫ টাকা পিস হিসেবে পাইকারি মার্কেটে দাম চেয়েছে। আমাদের কিছুই করার নেই। প্রতিবছরই রোজার শুরুতে এরকম বাড়তি দাম থাকে।

আরিফ বিল্লাহ নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, দাম যেমন বেশি তেমন মানও ভালো। প্রতিবছরই রোজার আগে দাম এরকম বেড়ে যায়। তাছাড়া এখন গরম শুরু হয়েছে শরবতের জন্যও ব্যাপক চাহিদা। পাইকারি বাজারেই বাড়তি দাম দিয়ে আমাদের কিনতে হচ্ছে। গত সপ্তাহেও যেই লেবু ৪০ টাকা হালি ছিল সেটি এখন ৮০-৯০ টাকার নিচে কেনা যাচ্ছে না। রোজার মাস ধরে এমন চড়াই থাকবে। আবার পাহাড়ি লেবু বাজারে নামলে তখন দাম কমে আসবে।

লেবুর বাড়তি দাম নিয়ে অস্বস্তি প্রকাশ করেছেন ক্রেতারাও। মোমেনা খাতুন নামের এক ক্রেতা বলেন, আজ রোজার বাজার করেছি। এখন লেবু কিনতে এসেই অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। ভালো মানের লেবুর হালি ৮০ টাকা চাচ্ছে। আর সাইজে বড়গুলো ১০০ টাকা চাচ্ছে। বাধ্য হয়ে ৮০ টাকায় এক হালি নিতে হলো। দাম কমলে আবার নেবো। রমজান মাসজুড়ে লেবুর বাড়তি দাম থাকলে শরবতের ক্ষেত্রে লেবুর বদলে অন্য উপাদানের শরবতে প্রাধান্য দিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।