সিলেট ০৯:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সিলেটে তৎপর বিআরটিএ : অতিরিক্ত ভাড়া নিলেই নেয়া হচ্ছে ব্যবস্থা সিলেটে বিআরটিএ মোবাইল কোর্টের অভিযানে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করায় হানিফ পরিবহনকে জরিমানা সিলেটে ছিনতাইয়ের শিকার বিএনপি নেতা সিলেটে বাস ভাড়ার তালিকা না থাকায় দুই বাস কোম্পানীকে বিআরটিএ জরিমানা জনগণের অধিকার বলতে আমরা ভোটের অধিকারকে বুঝি: খন্দকার মোশাররফ মন যুগিয়ে চলতে সরকার নিজেদের অবস্থান দুর্বল করছে’ রাজধানীতে ধাওয়া দিয়ে ৫ ছিনতাইকারীকে ধরলেন ৩ ট্রাফিক সার্জেন্ট সংস্কারবিহীন নির্বাচন কোনো কাজে দেবে না: নাহিদ ইসলাম ইউক্রেনকে ৪-২ গোলে হারিয়ে স্বর্ণ জিতল বাংলাদেশ গাজা যুদ্ধবিরতি অনিশ্চিত, হামাসের ‘অবাস্তব’ দাবি প্রত্যাখ্যান যুক্তরাষ্ট্রের

দুই উপদেষ্টার অনুরোধে মুক্তি পান সেই মহিউদ্দিন!

আজকের পাতা ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:০৩:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫ ২ বার পড়া হয়েছে

ধানমন্ডিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত চলাকালে আটক মহিউদ্দিনকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টার হস্তক্ষেপের পর বাবা-মার জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

ধানমন্ডি থানা পুলিশ সেই মহিউদ্দিনকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে বিষয়টি নিয়ে বুধবার ৩টার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্য সচিব সালেহ উদ্দিন সিফাত।

তিনি লিখেন, ‘ধানমন্ডিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত চলাকালে আটক মহিউদ্দিনকে কিছুক্ষণ আগে ধানমন্ডি থানা থেকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। মাহবুব আলম মাহির ও মুশফিকুর রহমান জোহান ভাই এবং আমি রাত ১০টায় তার জামিনের ব্যাপারে কথা বলতে ধানমন্ডি থানায় যাই। কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে আটক হওয়ায় পুলিশ প্রথমে নিজেদের পক্ষ থেকে মুক্তি দিতে অপারগতা প্রকাশ করে।’

সিফাত আরো লিখেছেন, ‘পরবর্তীতে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ ভাইয়ের মাধ্যমে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল স্যারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।

তিনি ছেলেটির মুক্তির ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে আশ্বস্ত করেন। পরবর্তীতে রাত ১২টা নাগাদ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি পর্যালোচনার পর মুচলেকা নিয়ে মহিউদ্দিনকে তার বাবা-মায়ের জিম্মায় ছেড়ে দেন।’ 

বুধবার ধানমন্ডিতে ফুটপাতে অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান চালায় একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেসময় মহিউদ্দিনের একটি ফুডকার্ট উচ্ছেদ করা হয়।

তখন মহিউদ্দিন এই উচ্ছেদ বন্ধে প্রতিবাদ করেন। তিনি দাবি করেন, এই বাজারের সবকিছুর দাম যখন ঊর্ধ্বমুখী তখন পরিবারকে সহযোগিতা করতে তিনি এই দোকান পরিচালনা করছেন। তিনি তো চুরি ডাকাতি করছেন না। কাউকে অসুবিধা না করে এমন সৎ কাজও কেন তিনি এই বাংলাদেশে করতে পারবেন না? উপস্থিত গণমাধ্যমের সামনে এমন বক্তব্য দেওয়ার সময় পুলিশ তাঁকে আটক করে মারধর করতে করতে পুলিশ ভ্যানে ওঠায়। মহিউদ্দিনের এই বক্তব্য এবং পুলিশের মারধরের ভিডিও মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

দুই উপদেষ্টার অনুরোধে মুক্তি পান সেই মহিউদ্দিন!

আপডেট সময় : ০২:০৩:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

ধানমন্ডিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত চলাকালে আটক মহিউদ্দিনকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টার হস্তক্ষেপের পর বাবা-মার জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

ধানমন্ডি থানা পুলিশ সেই মহিউদ্দিনকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে বিষয়টি নিয়ে বুধবার ৩টার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্য সচিব সালেহ উদ্দিন সিফাত।

তিনি লিখেন, ‘ধানমন্ডিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত চলাকালে আটক মহিউদ্দিনকে কিছুক্ষণ আগে ধানমন্ডি থানা থেকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। মাহবুব আলম মাহির ও মুশফিকুর রহমান জোহান ভাই এবং আমি রাত ১০টায় তার জামিনের ব্যাপারে কথা বলতে ধানমন্ডি থানায় যাই। কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে আটক হওয়ায় পুলিশ প্রথমে নিজেদের পক্ষ থেকে মুক্তি দিতে অপারগতা প্রকাশ করে।’

সিফাত আরো লিখেছেন, ‘পরবর্তীতে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ ভাইয়ের মাধ্যমে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল স্যারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।

তিনি ছেলেটির মুক্তির ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে আশ্বস্ত করেন। পরবর্তীতে রাত ১২টা নাগাদ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি পর্যালোচনার পর মুচলেকা নিয়ে মহিউদ্দিনকে তার বাবা-মায়ের জিম্মায় ছেড়ে দেন।’ 

বুধবার ধানমন্ডিতে ফুটপাতে অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান চালায় একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেসময় মহিউদ্দিনের একটি ফুডকার্ট উচ্ছেদ করা হয়।

তখন মহিউদ্দিন এই উচ্ছেদ বন্ধে প্রতিবাদ করেন। তিনি দাবি করেন, এই বাজারের সবকিছুর দাম যখন ঊর্ধ্বমুখী তখন পরিবারকে সহযোগিতা করতে তিনি এই দোকান পরিচালনা করছেন। তিনি তো চুরি ডাকাতি করছেন না। কাউকে অসুবিধা না করে এমন সৎ কাজও কেন তিনি এই বাংলাদেশে করতে পারবেন না? উপস্থিত গণমাধ্যমের সামনে এমন বক্তব্য দেওয়ার সময় পুলিশ তাঁকে আটক করে মারধর করতে করতে পুলিশ ভ্যানে ওঠায়। মহিউদ্দিনের এই বক্তব্য এবং পুলিশের মারধরের ভিডিও মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়।